পারমাণবিক অস্ত্র অতিউচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বোমা(atom bomb)
পারমাণবিক অস্ত্র
অতিউচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বোমা
১৯৪৫ সালে নাগাসাকিতে আণবিক বোমা বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট ব্যাঙের ছাতার মত মেঘ।
পারমাণবিক অস্ত্র এমন এক ধরনের যন্ত্র যা নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার ফলে প্রাপ্ত প্রচণ্ড শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি করে। সে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া ফিসানের ফলে অথবা ফিসান ও ফিউশান উভয়েরই সংমিশ্রনেও সংঘটিত হতে পারে। উভয় বিক্রিয়ার কারণেই খুবই অল্প পরিমাণ পদার্থ থেকে বিশাল পরিমাণে শক্তি নির্গত হয়। আধুনিক এক হাজার কিলোগ্রামের একটি থার্মো-নিউক্লিয়ার অস্ত্রের বিস্ফোরন ক্ষমতা প্রচলিত প্রায় ১ বিলিয়ন কিলোগ্রামের প্রচণ্ড বিস্ফোরক দ্রব্যের চেয়েও বেশি। এভাবেই শুধুমাত্র প্রচলিত বোমার সমান আকারেই একটি পারমাণবিক বোমা দ্বারাই একটি শহরকে ধ্বংস করে দেয়া যায়। পারমাণবিক অস্ত্রকে ধরা হয় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের এক বোমা হিসেবে। একারণেই আন্তজার্তিক বিভিন্ন নিয়ম-নীতিমালা প্রণয়নে তাদের ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ সবসময়ই একটি আলোকিত বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পাদনা
মূল নিবন্ধ: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
যুদ্ধের ইতিহাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মাত্র দুটি পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরিত করা হয়েছিল। লিটল বয় নামের প্রথম বোমাটি ৬ আগস্ট ১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমাতে এবং ফ্যাট ম্যান নামক দ্বিতীয় বোমাটি তিনদিন পর জাপানের নাগাসাকিতে নিক্ষেপ করা হয়। কিন্তু এর ফলাফল ছিল ভয়াবহ। প্রচণ্ড বিস্ফোরন ও ক্ষতিকর আলোক-কণা বিকিরণের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে মারা গিয়েছিল প্রায় ১২০,০০০ লোক এবং আয়নাইজিংয়ের ফলে ধীরে ধীরে আরো অসংখ্য মানুষ মারা গিয়েছিল। এ বোমার বিস্ফোরন এবং কোন দেশের অস্ত্রভান্ডারে এ বোমার সংরক্ষণ খুবই বিতর্কিত একটি বিষয়।
সম্পৃক্ত দেশসমূহ সম্পাদনা
হিরোশিমা ও নাগাসাকির সেই বিস্ফোরনের পরেও এখন পর্যন্ত আরও পাঁচ শতাধিকবার পরীক্ষামূলকভাবে এবং প্রদর্শনের জন্য এ বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। বর্তমানে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরন ঘটিয়েছে এবং মজুদ রয়েছে এমন দেশগুলো হল - যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ভারত ও পাকিস্তান। এছাড়া এটা ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে - উত্তর কোরিয়া, ইরান, ইসরাইলেও পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।
অতিউচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বোমা
১৯৪৫ সালে নাগাসাকিতে আণবিক বোমা বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট ব্যাঙের ছাতার মত মেঘ।
পারমাণবিক অস্ত্র এমন এক ধরনের যন্ত্র যা নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার ফলে প্রাপ্ত প্রচণ্ড শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি করে। সে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া ফিসানের ফলে অথবা ফিসান ও ফিউশান উভয়েরই সংমিশ্রনেও সংঘটিত হতে পারে। উভয় বিক্রিয়ার কারণেই খুবই অল্প পরিমাণ পদার্থ থেকে বিশাল পরিমাণে শক্তি নির্গত হয়। আধুনিক এক হাজার কিলোগ্রামের একটি থার্মো-নিউক্লিয়ার অস্ত্রের বিস্ফোরন ক্ষমতা প্রচলিত প্রায় ১ বিলিয়ন কিলোগ্রামের প্রচণ্ড বিস্ফোরক দ্রব্যের চেয়েও বেশি। এভাবেই শুধুমাত্র প্রচলিত বোমার সমান আকারেই একটি পারমাণবিক বোমা দ্বারাই একটি শহরকে ধ্বংস করে দেয়া যায়। পারমাণবিক অস্ত্রকে ধরা হয় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের এক বোমা হিসেবে। একারণেই আন্তজার্তিক বিভিন্ন নিয়ম-নীতিমালা প্রণয়নে তাদের ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ সবসময়ই একটি আলোকিত বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পাদনা
মূল নিবন্ধ: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
যুদ্ধের ইতিহাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মাত্র দুটি পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরিত করা হয়েছিল। লিটল বয় নামের প্রথম বোমাটি ৬ আগস্ট ১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমাতে এবং ফ্যাট ম্যান নামক দ্বিতীয় বোমাটি তিনদিন পর জাপানের নাগাসাকিতে নিক্ষেপ করা হয়। কিন্তু এর ফলাফল ছিল ভয়াবহ। প্রচণ্ড বিস্ফোরন ও ক্ষতিকর আলোক-কণা বিকিরণের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে মারা গিয়েছিল প্রায় ১২০,০০০ লোক এবং আয়নাইজিংয়ের ফলে ধীরে ধীরে আরো অসংখ্য মানুষ মারা গিয়েছিল। এ বোমার বিস্ফোরন এবং কোন দেশের অস্ত্রভান্ডারে এ বোমার সংরক্ষণ খুবই বিতর্কিত একটি বিষয়।
সম্পৃক্ত দেশসমূহ সম্পাদনা
হিরোশিমা ও নাগাসাকির সেই বিস্ফোরনের পরেও এখন পর্যন্ত আরও পাঁচ শতাধিকবার পরীক্ষামূলকভাবে এবং প্রদর্শনের জন্য এ বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। বর্তমানে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরন ঘটিয়েছে এবং মজুদ রয়েছে এমন দেশগুলো হল - যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ভারত ও পাকিস্তান। এছাড়া এটা ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে - উত্তর কোরিয়া, ইরান, ইসরাইলেও পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।
Comments
Post a Comment