হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান(heart attack )
বিশ্ব হার্ট দিবস ২০১৯ : জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা
গোটা বিশ্বে হার্ট অ্যাটাকের কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়। বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ ভুগছে হার্টের সমস্যায়। হার্ট অ্যাটাক খুব সহজেই একজন মানুষকে মেরে ফেলতে পারে। ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সী পুরুষ এবং ৫৫ বা তার বেশি বয়সের মহিলাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা, কম বয়সী পুরুষ ও মহিলাদের থেকে বেশ
আমাদের হৃদপিণ্ডের নিজস্ব রক্তনালি থাকে। এই রক্তনালিতে চর্বি, কোলেস্টেরল জমে গেলে এর ওপর রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। ফলস্বরুপ, রক্তনালিগুলি পুরোপুরি ব্লক হয়ে যায় এবং রক্ত প্রবাহের পথে বাধা পায়। এর ফলে, হঠাৎ করে বুকে ব্যাথা এবং সেখান থেকে পরিস্থিতি জটিল হলে মৃত্যুও হতে পারে। একেই আমরা হার্ট অ্যাটাক বলি। একে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন-ও বলা হয়।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ :
ক) শ্বাসকষ্ট
খ) ঘাম বেরোনো
গ) মাথা ঝিমঝিম করা
ঘ) বুকে অসহ্য চাপ, অস্বস্তি বা ব্যথা
ঙ) বমি বমি ভাব, বমি হওয়া
চ) নিজেকে শক্তিহীন বা শ্রান্তবোধ করা।
ছ) বাহু, গলা, পিঠ, চোয়াল বা পাকস্থলির উপরের অংশ ব্যথা বা অস্বস্তি, ইত্যাদি।
হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা :
এককথায় বলা যায়, রক্তনালি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে হার্টের কার্যক্ষমতা বন্ধ হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাক হয়। হার্ট অ্যাটাক এমন গুরুতর অসুখ, যার জন্য তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন। না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের ঠিক পরেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে রোগীকে কী ধরনের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা যেতে পারে তা আলোচনা করা হল-
ক) এইসময় রোগীকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
খ) রোগীকে শক্ত জায়গায় শুইয়ে দিন এবং তার গায়ের জামা-কাপড় ঢিলেঢালা করে দিন। দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসাতে পারেন। রোগীকে হেলান দিয়ে হাঁটু মুড়ে বসালে রক্তচাপ কমবে।
গ) রোগীর যদি অ্যাসপিরিনে অ্যালার্জি না থাকে তাহলে অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো যেতে পারে। তবে তা রোগীকে চুষে বা চিবিয়ে খেতে হবে।
ঘ) রোগী যদি বেশি ঘামতে থাকে তাহলে তার জিভের নিচে এক চামচ গ্লুকোজ দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু, ভুলেও কোনও ঠাণ্ডা এবং মিষ্টি পানীয় রোগার মুখে দেওয়া যাবে না।
ঙ) রোগীর যদি শ্বাস নিতে অসুবিধা হলে তার শরীরে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ বাতাস পৌঁছয় তার ব্যবস্থা করতে হবে।
চ) রোগী অচেতন হয়ে গেলে সিপিআর-এর সাহায্য নিতে হবে। সিপিআর হলো দু'হাত দিয়ে বুকের ওপর হালকা চাপ দেওয়া এবং মুখ দিয়ে রোগীর মুখে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা।
ছ) রোগীর বমি হলে তা শ্বাসনালীতে যাতে চলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার।
গোটা বিশ্বে হার্ট অ্যাটাকের কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়। বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ ভুগছে হার্টের সমস্যায়। হার্ট অ্যাটাক খুব সহজেই একজন মানুষকে মেরে ফেলতে পারে। ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সী পুরুষ এবং ৫৫ বা তার বেশি বয়সের মহিলাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা, কম বয়সী পুরুষ ও মহিলাদের থেকে বেশ
আমাদের হৃদপিণ্ডের নিজস্ব রক্তনালি থাকে। এই রক্তনালিতে চর্বি, কোলেস্টেরল জমে গেলে এর ওপর রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। ফলস্বরুপ, রক্তনালিগুলি পুরোপুরি ব্লক হয়ে যায় এবং রক্ত প্রবাহের পথে বাধা পায়। এর ফলে, হঠাৎ করে বুকে ব্যাথা এবং সেখান থেকে পরিস্থিতি জটিল হলে মৃত্যুও হতে পারে। একেই আমরা হার্ট অ্যাটাক বলি। একে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন-ও বলা হয়।
আমাদের হৃদপিণ্ডের নিজস্ব রক্তনালি থাকে। এই রক্তনালিতে চর্বি, কোলেস্টেরল জমে গেলে এর ওপর রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। ফলস্বরুপ, রক্তনালিগুলি পুরোপুরি ব্লক হয়ে যায় এবং রক্ত প্রবাহের পথে বাধা পায়। এর ফলে, হঠাৎ করে বুকে ব্যাথা এবং সেখান থেকে পরিস্থিতি জটিল হলে মৃত্যুও হতে পারে। একেই আমরা হার্ট অ্যাটাক বলি। একে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন-ও বলা হয়।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ :
ক) শ্বাসকষ্ট
খ) ঘাম বেরোনো
গ) মাথা ঝিমঝিম করা
ঘ) বুকে অসহ্য চাপ, অস্বস্তি বা ব্যথা
ঙ) বমি বমি ভাব, বমি হওয়া
চ) নিজেকে শক্তিহীন বা শ্রান্তবোধ করা।
ছ) বাহু, গলা, পিঠ, চোয়াল বা পাকস্থলির উপরের অংশ ব্যথা বা অস্বস্তি, ইত্যাদি।
হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা :
এককথায় বলা যায়, রক্তনালি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে হার্টের কার্যক্ষমতা বন্ধ হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাক হয়। হার্ট অ্যাটাক এমন গুরুতর অসুখ, যার জন্য তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন। না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের ঠিক পরেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে রোগীকে কী ধরনের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা যেতে পারে তা আলোচনা করা হল-
ক) এইসময় রোগীকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
খ) রোগীকে শক্ত জায়গায় শুইয়ে দিন এবং তার গায়ের জামা-কাপড় ঢিলেঢালা করে দিন। দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসাতে পারেন। রোগীকে হেলান দিয়ে হাঁটু মুড়ে বসালে রক্তচাপ কমবে।
গ) রোগীর যদি অ্যাসপিরিনে অ্যালার্জি না থাকে তাহলে অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো যেতে পারে। তবে তা রোগীকে চুষে বা চিবিয়ে খেতে হবে।
ঘ) রোগী যদি বেশি ঘামতে থাকে তাহলে তার জিভের নিচে এক চামচ গ্লুকোজ দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু, ভুলেও কোনও ঠাণ্ডা এবং মিষ্টি পানীয় রোগার মুখে দেওয়া যাবে না।
ঙ) রোগীর যদি শ্বাস নিতে অসুবিধা হলে তার শরীরে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ বাতাস পৌঁছয় তার ব্যবস্থা করতে হবে।
চ) রোগী অচেতন হয়ে গেলে সিপিআর-এর সাহায্য নিতে হবে। সিপিআর হলো দু'হাত দিয়ে বুকের ওপর হালকা চাপ দেওয়া এবং মুখ দিয়ে রোগীর মুখে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা।
ছ) রোগীর বমি হলে তা শ্বাসনালীতে যাতে চলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার।
Comments
Post a Comment