এলটিই, লং টার্ম এভুলুশন অথবা ফোরজি এলটিই
এলটিই, লং টার্ম এভুলুশন অথবা ফোরজি এলটিই
এলটিই, লং টার্ম এভুলুশন অথবা ফোরজি এলটিই যা নামেই পরিচিত হোক না কেন এটি মোবাইল ফোন এবং ডাটা টার্মিনালগুলোর জন্য উচ্চ গতির তথ্য আদান-প্রদানের বেতার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়ে থাকে। একে জিএসএম/এজ এবং ইউএমটিএস/এইচএসপিএ নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। প্রধান নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে এবং ভিন্ন বেতার ব্যবস্থা ব্যবহারের মাধ্যমে গতি এবং ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।[১][২] নতুন এই আদর্শটির উন্নয়নে ৩জিপিপি (থার্ড জেনারেশন পার্টনারশিপ প্রজেক্ট) কাজ করেছে এবং রিলিজ এইট নথীতে বর্ণনা করা হয়েছে। রিলিজ নাইনে এর সামান্য উন্নয়ন লিপিবদ্ধ করা হয়।
২০০৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর অসলো এবং স্টকহোম এ টেলিয়াসোনেরা বিশ্বে প্রথমবারের মত এলটিই সেবা সাধারণ জনগণের জন্য চালু করে। [৩] এলটিই জিএসএম/ইউএমটিএস এবং সিডিএমএ নেটওয়ার্ক পরিচালকদের জন্য একটি সাধারণ আপগ্রেড হিসেবে চিহ্নিত। উত্তর আমেরিকায় ২০১০[৪][৫] সালে প্রথম বৃহৎ আকারে এলটিই নেটওয়ার্ক চালু করে সিডিএমএ ভিত্তিক ভেরাইজন ওয়্যারলেস এবং জাপানের অউ বাই কেডিডিএল এলটিইতে স্থানান্তরিত হবে বলে ঘোষণা দেয়। আর তাই এলটিইকে বিশ্বজনীন সত্যিকারের একটি মোবাইল ফোন আদর্শ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড ব্যবহৃত হওয়ায় সকল দেশের এলটিই সুবিধা গ্রহণ করার জন্য একাধিক-ব্যান্ড ভিত্তিক ফোনের প্রয়োজন হবে।
চতুর্থ প্রজন্মের বেতার সুবিধা হিসেবে পরিচিত হলেও আইটিইউ-আর এর আইএমটি-অ্যাডভান্সড স্পেসিফিকেশন এবং থ্রিজিপিপি কনসোর্টিয়াম কর্তৃক আগামী প্রজন্মের আদর্শ হিসেবে যে প্রাযুক্তিক প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা থ্রিজিপিপি এর রিলিজ ৮ এবং ৯ পরিপূর্ণ রূপে মেটাতে সক্ষম হয়নি। কিন্তু বিপণন চাপ এবং মূল থ্রি জি প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ওয়াইম্যাক্স, এইচএসপিএ+ এবং এলটিই উল্লেখযোগ্য উন্নতিসাধণের কারণে আইটিইউ এলটি এবং উপরোক্ত প্রযুক্তিগুলোকে ফোর জি প্রযুক্তি হিসেবে স্বিকৃতি প্রদান করে।[৬] তবে এলটিই অ্যাডভান্সড আদর্শটি আনুষ্ঠানিকভাবে আইএমটি-অ্যাডভান্সড[৭] স্পেসিফিকেশন পরিপূর্ণভাবে মেটাতে সক্ষম হয় ফলে এলটিই-অ্যাডভান্সড এবং ওয়াইম্যাক্স-অ্যাডভান্সডকে বর্তমান প্রজন্মের ফোর জি প্রযুক্তির কাছ থেকে আলাদা করার জন্য আইটিইউ একে “ট্রু ফোর জি” হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে।[৮][৯]
ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড সম্পাদনা
নানা ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডে এলটিই ব্যবহার করা সম্ভব। উত্তর আমেরিকায় ৭০০/৮০০ এবং ১৭০০/১৯০০ মেগাহার্জ ব্যবহৃত হয়; দক্ষিণ আমেরিকায় ২৫০০ মেগাহার্জ; ইউরোপে ৮০০, ৯০০, ১৮০০, ২৬০০ মেগাহার্জ; এশিয়ায় ১৮০০ এবং ২৬০০ মেগাহার্জ; এবং অস্ট্রেলিয়ায় ১৮০০ মেগাহার্জ।[১০][১১][১২][১৩][১৪][১৫] ফলে এক অঞ্চলের ফোন অন্য অঞ্চলে না চলার সম্ভাবনা বেশি। আন্তর্জাতিক ভাবে এলটিই সুবিধা নিতে হলে গ্রাহককে একাধিক-ব্যান্ড বিশিষ্ট মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে হবে।
মেধাস্বত্ত্ব সম্পাদনা
ইউরোপীয় টেলিযোগাযোগ আদর্শ সংস্থা (ইটিএসআই)’র “আইপিআর-ডাটাবেজ” (ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস) তথ্যানুযায়ী মার্চ ২০১২ পর্যন্ত সর্বমোট ৫০টি কোম্পানির কাছে এলটিই আদর্শের বহুবিধ মেধাস্বত্ত্ব মালিকানা রয়েছে।[১৬] তবে এই দাবী[১৬] সঠিক কিনা সে ব্যাপারে ইটিএসআই এখনো কোন তদন্ত করেনি। আর তাই এলটিইর মেধাস্বত্ত্ব সম্পর্কে কোন বিশ্লেষণ করার পূর্বে ইটিএসআই-এ ঘোষিত দাবী ছাড়াও আরো কোন দাবী রয়েছে কিনা তা পরিক্ষা করে দেখা উচিত।[১৭]
এলটিই, লং টার্ম এভুলুশন অথবা ফোরজি এলটিই যা নামেই পরিচিত হোক না কেন এটি মোবাইল ফোন এবং ডাটা টার্মিনালগুলোর জন্য উচ্চ গতির তথ্য আদান-প্রদানের বেতার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়ে থাকে। একে জিএসএম/এজ এবং ইউএমটিএস/এইচএসপিএ নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। প্রধান নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে এবং ভিন্ন বেতার ব্যবস্থা ব্যবহারের মাধ্যমে গতি এবং ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।[১][২] নতুন এই আদর্শটির উন্নয়নে ৩জিপিপি (থার্ড জেনারেশন পার্টনারশিপ প্রজেক্ট) কাজ করেছে এবং রিলিজ এইট নথীতে বর্ণনা করা হয়েছে। রিলিজ নাইনে এর সামান্য উন্নয়ন লিপিবদ্ধ করা হয়।
২০০৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর অসলো এবং স্টকহোম এ টেলিয়াসোনেরা বিশ্বে প্রথমবারের মত এলটিই সেবা সাধারণ জনগণের জন্য চালু করে। [৩] এলটিই জিএসএম/ইউএমটিএস এবং সিডিএমএ নেটওয়ার্ক পরিচালকদের জন্য একটি সাধারণ আপগ্রেড হিসেবে চিহ্নিত। উত্তর আমেরিকায় ২০১০[৪][৫] সালে প্রথম বৃহৎ আকারে এলটিই নেটওয়ার্ক চালু করে সিডিএমএ ভিত্তিক ভেরাইজন ওয়্যারলেস এবং জাপানের অউ বাই কেডিডিএল এলটিইতে স্থানান্তরিত হবে বলে ঘোষণা দেয়। আর তাই এলটিইকে বিশ্বজনীন সত্যিকারের একটি মোবাইল ফোন আদর্শ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড ব্যবহৃত হওয়ায় সকল দেশের এলটিই সুবিধা গ্রহণ করার জন্য একাধিক-ব্যান্ড ভিত্তিক ফোনের প্রয়োজন হবে।
চতুর্থ প্রজন্মের বেতার সুবিধা হিসেবে পরিচিত হলেও আইটিইউ-আর এর আইএমটি-অ্যাডভান্সড স্পেসিফিকেশন এবং থ্রিজিপিপি কনসোর্টিয়াম কর্তৃক আগামী প্রজন্মের আদর্শ হিসেবে যে প্রাযুক্তিক প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা থ্রিজিপিপি এর রিলিজ ৮ এবং ৯ পরিপূর্ণ রূপে মেটাতে সক্ষম হয়নি। কিন্তু বিপণন চাপ এবং মূল থ্রি জি প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ওয়াইম্যাক্স, এইচএসপিএ+ এবং এলটিই উল্লেখযোগ্য উন্নতিসাধণের কারণে আইটিইউ এলটি এবং উপরোক্ত প্রযুক্তিগুলোকে ফোর জি প্রযুক্তি হিসেবে স্বিকৃতি প্রদান করে।[৬] তবে এলটিই অ্যাডভান্সড আদর্শটি আনুষ্ঠানিকভাবে আইএমটি-অ্যাডভান্সড[৭] স্পেসিফিকেশন পরিপূর্ণভাবে মেটাতে সক্ষম হয় ফলে এলটিই-অ্যাডভান্সড এবং ওয়াইম্যাক্স-অ্যাডভান্সডকে বর্তমান প্রজন্মের ফোর জি প্রযুক্তির কাছ থেকে আলাদা করার জন্য আইটিইউ একে “ট্রু ফোর জি” হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে।[৮][৯]
ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড সম্পাদনা
নানা ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডে এলটিই ব্যবহার করা সম্ভব। উত্তর আমেরিকায় ৭০০/৮০০ এবং ১৭০০/১৯০০ মেগাহার্জ ব্যবহৃত হয়; দক্ষিণ আমেরিকায় ২৫০০ মেগাহার্জ; ইউরোপে ৮০০, ৯০০, ১৮০০, ২৬০০ মেগাহার্জ; এশিয়ায় ১৮০০ এবং ২৬০০ মেগাহার্জ; এবং অস্ট্রেলিয়ায় ১৮০০ মেগাহার্জ।[১০][১১][১২][১৩][১৪][১৫] ফলে এক অঞ্চলের ফোন অন্য অঞ্চলে না চলার সম্ভাবনা বেশি। আন্তর্জাতিক ভাবে এলটিই সুবিধা নিতে হলে গ্রাহককে একাধিক-ব্যান্ড বিশিষ্ট মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে হবে।
মেধাস্বত্ত্ব সম্পাদনা
ইউরোপীয় টেলিযোগাযোগ আদর্শ সংস্থা (ইটিএসআই)’র “আইপিআর-ডাটাবেজ” (ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস) তথ্যানুযায়ী মার্চ ২০১২ পর্যন্ত সর্বমোট ৫০টি কোম্পানির কাছে এলটিই আদর্শের বহুবিধ মেধাস্বত্ত্ব মালিকানা রয়েছে।[১৬] তবে এই দাবী[১৬] সঠিক কিনা সে ব্যাপারে ইটিএসআই এখনো কোন তদন্ত করেনি। আর তাই এলটিইর মেধাস্বত্ত্ব সম্পর্কে কোন বিশ্লেষণ করার পূর্বে ইটিএসআই-এ ঘোষিত দাবী ছাড়াও আরো কোন দাবী রয়েছে কিনা তা পরিক্ষা করে দেখা উচিত।[১৭]
Comments
Post a Comment