৫ম প্রজন্মের ওয়্যারলেস সিস্টেম, সংক্ষেপে ৫জি
৫ম প্রজন্মের ওয়্যারলেস সিস্টেম, সংক্ষেপে ৫জি
৫ম প্রজন্মের ওয়্যারলেস সিস্টেম, সংক্ষেপে ৫জি, হচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক যা ২০১৮ এবং এর পরবর্তী সময় প্রণিত হবে.[১] প্রাথমিকভাবে ৫জি তে অন্তর্গত প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে: মিলিমিটার তরঙ্গ ব্যান্ডের প্রণয়ন (২৬, ২৪, ৩৮, এবং ৬০ গিগাহার্টজ) যা প্রতি সেকেন্ডে ২০ গিগাবিট (গিগাবাইট/ সেকেন্ড) গতি[২] প্রদানে সক্ষম; বৃহৎ পরিসরের এমআইএমও (মাল্টিপল ইনপুট মাল্টিপল আউটপুট - ৬৪-২৫৬ অ্যান্টেনা) যা "৪জি এর ন্যূনতম ১০ গুণ বেশি কর্মক্ষমতা প্রদানে সক্ষম";[৩][৪][৫] “লো-ব্যান্ড ৫জি” এবং “মিড-ব্যান্ড ৫জি”, ৬০০ মেগাহার্টজ থেকে 6 গিগাহার্জ, বিশেষ করে ৩.৫-৪.২ গিগাহার্জ তরঙ্গ ব্যবহার করে থাকে। [৬][৭]
৩জিপিপি ডিসেম্বর, ২০১৭ এর রিলিজ ১৫[৮] এর মাধ্যমে ৫জি এর সাধারণ সংজ্ঞা নির্ধারন করা হয়েছে। অনেকে আইটিইউ এর আইএমটি-২০২০ সংজ্ঞা[৯] আগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন, যা উচ্চতর গতির জন্য উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডগুলি ব্যবহার নির্দেশ করে।
মিলিমিটার তরঙ্গ ব্যবস্থা প্রনয়ন করা হয়েছে ডাউনলোডের গতি সর্বোচ্চ ২০ গিগাবাইট/সেকেন্ড অর্জনের জন্য।[১০] এগুলোর আনুমানিক গড় গতিসীমা ৩.৫ গিগাবাইট/সেকেন্ড। [১১] অতিরিক্ত বৃহৎ এমআইএমও এন্টেনা সহকারে, ৩.৫-৪.২ গিগাহার্জ তরঙ্গের ব্যান্ডটির আনুমানিক মিডিয়ান ব্যান্ডউইডথ প্রতি সেকেন্ডে ৪৯০ মেগাবাইট।[১১] মিড-ব্যান্ড ফ্রিকোয়েন্সি এর ক্ষেত্রে, বর্তমানে প্রণিত ৫জি এর গতি এলটিএ গতির অনুরূপ, যখন একই ব্যান্ডউইথ এবং অ্যান্টেনা কনফিগারেশন ব্যবহৃত হয়।.[১২]
অধিকাংশ বড় মোবাইল নেটওয়ার্ক মূলত তিনটি পদ্ধতি অনুসরণ করছে। ভেরিজোন[১৩] এবং এটি এন্ড টি[১৪] ইতমধ্যে ২০১৮ সালের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে মিলিমিটার তরঙ্গ ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে। সফটব্যাংক, ২০১৬ সালে শুরু থেকে বৃহৎ পরিসরের এমআইএমও স্ব্যবহার করে আসছে। এছাড়াও স্প্রিন্ট, ২০১৮ সালে ২.৫ গিগাহার্জ (মিড-ব্যান্ড) ৫জি নেটওয়ার্ক প্রতিস্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে। টি-মোবাইল ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০টি শহরে লো-ব্যান্ডের ৫জি প্রনয়নের ঘোষণা দিয়েছে। [১৫] চাইনা টেলিকম এর প্রাথমিক ধাপের ৫জি মিড-ব্যান্ডের হবে।[১৬]
২০১৭ সাল থেকে ৫জি এর বাস্তবায়ন স্যামসাং, ইন্টেল, কোয়ালকম, নোকিয়া, হুয়াওয়ে, এরিকসন, জেডটিই এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে।[১৭] যদিও ২০২০ সাল নাগাদ ৫জি কে বাণিজ্যিকভাবে বিশ্বব্যাপী উপলভ্য করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তবে দক্ষিণ কোরিয়া ২০১৮ শীতকালীন অলিম্পিকের দর্শকদের ৫জি প্রনয়ন করিয়ে দেখিয়েছে।[১৮] ভেরিজোন যুক্তরাষ্ট্রের যে ৪টি শহরে ২০১৮ ফিক্সড ওয়্যারলেস এক্সেস ৫জি চালু করার পরিকল্পনা করছে সেগুলো হচ্ছে স্যাক্রামেন্টো, লস এঞ্জেলেস, ইন্ডিয়ানাপলিস এবং হিউস্টন। মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটদের পাশাপাশি, শিল্পক্ষেত্রের [[আইওটি]], এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্কিং এবং জরুরি যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক হিসাবে ৫জি এর প্রয়োগের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছে।[১৯]
ইতিহাস :-
২০১৮ সালের এপ্রিলে, নাসা ৫জি উদ্ভাবন করার জন্য জেফ ব্রাউন ও মেশিন-টু-মেশিন ইন্টেলিজেন্স (এম২এমআইও) কর্প এর সাথে অংশীদারি হয়। [২০]
২০০৮ সালে, দক্ষিণ কোরিও আইবিজেএনজিটি এর “৫জি মোবাইল কমিউনিকেশন সিস্টেমস বেসদ অন বিম-ডিভিশন মাল্টিপল এক্সেস এন্ড রিলেস উইদ গ্রুপ কোওপারেশন” কার্যক্রম চালু হয় ।[২১]
২০১২ সালের অগাস্টে, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি এনওয়াইইউ নামক একাধিক বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত গবেষনা কেন্দ্র ৫জি এর ওপর কাজ শুরু করে।[২২][২৩][২৪]
৮ই অক্টোবার ২০১২, যুক্তরাজ্যের সারি ইউনিভার্সিটি ৫জি গবেষনার জন্য ৩৫ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড এর তহবিল সংগ্রহ করে একটি গবেষনা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে যা ব্রিটিশ সরকারের ইউকে রিসার্চ ইনভেসমেন্ট ফান্ড ও হুয়াওয়ে, স্যামসং, টেলিফনিকা ইউরোপ, ফুজিতসু ল্যাবরেটরিজ ইউরোপ, রোডা এন্ড শোয়ার্জ এবং এয়ারকম ইন্টারন্যাশনাল সহ আরো অন্যতম মোবাইল অপারেটর এর সমন্বয়ে গঠিত কনসোর্টায়ামের দ্বারা গঠিত হয়। যেসব মোবাইল অপারেটররা এক দশকের মধ্যে কম শক্তি ও কম রেডিও স্পেক্ট্রাম করে ৪জি এর চেয়ে দ্রুততর গতি প্রদানের জন্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে আগ্রহী তাদেরকে এই গবেষনা কেন্দ্র বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করবে।[২৫][২৬][২৭][২৮]
১লা নভেম্বর ২০১২, ইইউ প্রজেক্ট “মোবাইল এন্ড ওয়্যারলেস কমিউনিকেশ্ন এনাব্লারস ফর টোয়েন্টি-টোয়েন্টি ইনফরমেশন সোসাইটি (Metis)” ৫জি সংজ্ঞা নিরুপনের লক্ষে তার কার্যকলাপ শুরু করে। METIS তার এইসব সিস্টেমের ওপর বৈশ্বিক ঐক্যমত অর্জন।[২৯]
৫ম প্রজন্মের ওয়্যারলেস সিস্টেম, সংক্ষেপে ৫জি, হচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক যা ২০১৮ এবং এর পরবর্তী সময় প্রণিত হবে.[১] প্রাথমিকভাবে ৫জি তে অন্তর্গত প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে: মিলিমিটার তরঙ্গ ব্যান্ডের প্রণয়ন (২৬, ২৪, ৩৮, এবং ৬০ গিগাহার্টজ) যা প্রতি সেকেন্ডে ২০ গিগাবিট (গিগাবাইট/ সেকেন্ড) গতি[২] প্রদানে সক্ষম; বৃহৎ পরিসরের এমআইএমও (মাল্টিপল ইনপুট মাল্টিপল আউটপুট - ৬৪-২৫৬ অ্যান্টেনা) যা "৪জি এর ন্যূনতম ১০ গুণ বেশি কর্মক্ষমতা প্রদানে সক্ষম";[৩][৪][৫] “লো-ব্যান্ড ৫জি” এবং “মিড-ব্যান্ড ৫জি”, ৬০০ মেগাহার্টজ থেকে 6 গিগাহার্জ, বিশেষ করে ৩.৫-৪.২ গিগাহার্জ তরঙ্গ ব্যবহার করে থাকে। [৬][৭]
৩জিপিপি ডিসেম্বর, ২০১৭ এর রিলিজ ১৫[৮] এর মাধ্যমে ৫জি এর সাধারণ সংজ্ঞা নির্ধারন করা হয়েছে। অনেকে আইটিইউ এর আইএমটি-২০২০ সংজ্ঞা[৯] আগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন, যা উচ্চতর গতির জন্য উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডগুলি ব্যবহার নির্দেশ করে।
মিলিমিটার তরঙ্গ ব্যবস্থা প্রনয়ন করা হয়েছে ডাউনলোডের গতি সর্বোচ্চ ২০ গিগাবাইট/সেকেন্ড অর্জনের জন্য।[১০] এগুলোর আনুমানিক গড় গতিসীমা ৩.৫ গিগাবাইট/সেকেন্ড। [১১] অতিরিক্ত বৃহৎ এমআইএমও এন্টেনা সহকারে, ৩.৫-৪.২ গিগাহার্জ তরঙ্গের ব্যান্ডটির আনুমানিক মিডিয়ান ব্যান্ডউইডথ প্রতি সেকেন্ডে ৪৯০ মেগাবাইট।[১১] মিড-ব্যান্ড ফ্রিকোয়েন্সি এর ক্ষেত্রে, বর্তমানে প্রণিত ৫জি এর গতি এলটিএ গতির অনুরূপ, যখন একই ব্যান্ডউইথ এবং অ্যান্টেনা কনফিগারেশন ব্যবহৃত হয়।.[১২]
অধিকাংশ বড় মোবাইল নেটওয়ার্ক মূলত তিনটি পদ্ধতি অনুসরণ করছে। ভেরিজোন[১৩] এবং এটি এন্ড টি[১৪] ইতমধ্যে ২০১৮ সালের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে মিলিমিটার তরঙ্গ ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে। সফটব্যাংক, ২০১৬ সালে শুরু থেকে বৃহৎ পরিসরের এমআইএমও স্ব্যবহার করে আসছে। এছাড়াও স্প্রিন্ট, ২০১৮ সালে ২.৫ গিগাহার্জ (মিড-ব্যান্ড) ৫জি নেটওয়ার্ক প্রতিস্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে। টি-মোবাইল ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০টি শহরে লো-ব্যান্ডের ৫জি প্রনয়নের ঘোষণা দিয়েছে। [১৫] চাইনা টেলিকম এর প্রাথমিক ধাপের ৫জি মিড-ব্যান্ডের হবে।[১৬]
২০১৭ সাল থেকে ৫জি এর বাস্তবায়ন স্যামসাং, ইন্টেল, কোয়ালকম, নোকিয়া, হুয়াওয়ে, এরিকসন, জেডটিই এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে।[১৭] যদিও ২০২০ সাল নাগাদ ৫জি কে বাণিজ্যিকভাবে বিশ্বব্যাপী উপলভ্য করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তবে দক্ষিণ কোরিয়া ২০১৮ শীতকালীন অলিম্পিকের দর্শকদের ৫জি প্রনয়ন করিয়ে দেখিয়েছে।[১৮] ভেরিজোন যুক্তরাষ্ট্রের যে ৪টি শহরে ২০১৮ ফিক্সড ওয়্যারলেস এক্সেস ৫জি চালু করার পরিকল্পনা করছে সেগুলো হচ্ছে স্যাক্রামেন্টো, লস এঞ্জেলেস, ইন্ডিয়ানাপলিস এবং হিউস্টন। মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটদের পাশাপাশি, শিল্পক্ষেত্রের [[আইওটি]], এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্কিং এবং জরুরি যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক হিসাবে ৫জি এর প্রয়োগের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছে।[১৯]
ইতিহাস :-
২০১৮ সালের এপ্রিলে, নাসা ৫জি উদ্ভাবন করার জন্য জেফ ব্রাউন ও মেশিন-টু-মেশিন ইন্টেলিজেন্স (এম২এমআইও) কর্প এর সাথে অংশীদারি হয়। [২০]
২০০৮ সালে, দক্ষিণ কোরিও আইবিজেএনজিটি এর “৫জি মোবাইল কমিউনিকেশন সিস্টেমস বেসদ অন বিম-ডিভিশন মাল্টিপল এক্সেস এন্ড রিলেস উইদ গ্রুপ কোওপারেশন” কার্যক্রম চালু হয় ।[২১]
২০১২ সালের অগাস্টে, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি এনওয়াইইউ নামক একাধিক বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত গবেষনা কেন্দ্র ৫জি এর ওপর কাজ শুরু করে।[২২][২৩][২৪]
৮ই অক্টোবার ২০১২, যুক্তরাজ্যের সারি ইউনিভার্সিটি ৫জি গবেষনার জন্য ৩৫ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড এর তহবিল সংগ্রহ করে একটি গবেষনা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে যা ব্রিটিশ সরকারের ইউকে রিসার্চ ইনভেসমেন্ট ফান্ড ও হুয়াওয়ে, স্যামসং, টেলিফনিকা ইউরোপ, ফুজিতসু ল্যাবরেটরিজ ইউরোপ, রোডা এন্ড শোয়ার্জ এবং এয়ারকম ইন্টারন্যাশনাল সহ আরো অন্যতম মোবাইল অপারেটর এর সমন্বয়ে গঠিত কনসোর্টায়ামের দ্বারা গঠিত হয়। যেসব মোবাইল অপারেটররা এক দশকের মধ্যে কম শক্তি ও কম রেডিও স্পেক্ট্রাম করে ৪জি এর চেয়ে দ্রুততর গতি প্রদানের জন্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে আগ্রহী তাদেরকে এই গবেষনা কেন্দ্র বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করবে।[২৫][২৬][২৭][২৮]
১লা নভেম্বর ২০১২, ইইউ প্রজেক্ট “মোবাইল এন্ড ওয়্যারলেস কমিউনিকেশ্ন এনাব্লারস ফর টোয়েন্টি-টোয়েন্টি ইনফরমেশন সোসাইটি (Metis)” ৫জি সংজ্ঞা নিরুপনের লক্ষে তার কার্যকলাপ শুরু করে। METIS তার এইসব সিস্টেমের ওপর বৈশ্বিক ঐক্যমত অর্জন।[২৯]
Comments
Post a Comment