কিডনি রোগ বা সমস্যা দূরে রাখতে এই আটটি বিষয়(kidney diseies)
কিডনি রোগ বা সমস্যা দূরে রাখতে এই আটটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখুন
শুরুতেই আপনাদের একটি তথ্য জানাই। জানেন কি, ভারতে প্রতি আট জনের মধ্যে এক জনের কিডনির সমস্যা আছে? জানতেন না তো! কিডনি আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আর আমাদের ভালো থাকা অনেকটাই নির্ভর করে এই কিডনি ভালো আছে কিনা তার উপর। কিডনির সমস্যায় অনেক দিন ধরে ভুগতে থাকলে তা কিন্তু সত্যিই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কিন্তু এইটুকু পড়েই আপাতত তেমন চিন্তায় পড়ে যাওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং কয়েকটি সহজ কাজ করুন যার দ্বারা আপনি জানতে পারবেন আপনার কিডনি ভালো আছে কি না। আর এই কয়েকটি সহজ পদ্ধতিই আপনার কিডনি ভালো রাখবে, ভালো রাখবে আপনাকেও।
১. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করুন
আজকের দিনে আমরা সকলেই নানা রকমের চিন্তা নিয়ে জেরবার। আর তার ফলে চড়চড় করে বাড়ছে আমাদের ব্লাড প্রেসার। অনিয়ন্ত্রিত ব্লাড প্রেসার কিন্তু আমাদের কিডনির এক বড় শত্রু। ব্লাড প্রেসার যদি ১৪০ এর বেশি হয় আর ৯০ এর কম হয়, তাহলে কিন্তু কিডনি ফেল করার প্রবণতা খুব বেড়ে যায়। তাই আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করা খুবই দরকার।
২. অ্যালকোহল খাওয়া বন্ধ করুন
কিডনির আরেক বড় শত্রু হল এই অ্যালকোহল। আমাদের কিডনির প্রধান কাজ হল শোধন করা। কিন্তু কিডনি যদি সেই শোধন করার ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলে! অ্যালকোহল কিডনির ক্ষেত্রে ঠিক এই কাজটাই করে। কিডনির কাজ করার ক্ষমতাও কমিয়ে আনে এই অ্যালকহল। কিডনির কোষ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। ফলে কিডনি ইউরিন শোধন করতে পারে না। তা শরীরে জমা হয়। আর শরীর তখন খারাপ তো হবেই।
৩. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করুন
আপনাকে ডাক্তার নিশ্চয়ই অনেক দিন ধরে বলে আসছে কোলেস্টেরল কম করতে। এবার কিন্তু কথাটা শুনতে হবে। কারণ এই কোলেস্টেরলের প্রভাবে কিডনি খুব ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কোলেস্টেরল থাকলে হার্টের থেকে রক্ত কিডনিতে ঠিক ভাবে আসতে পারে না। আর রক্তের জোগান কম হলে কিডনি তো কাজ করবেই না। তাই কোলেস্টেরলের দিকে নজর দিন। আর কোলেস্টেরল কম করতে নিজের ওজন কমান, স্লিম থাকুন।
৪. সুগারকে বাড়তে দেবেন না
কিডনির জন্য আরেক দুশ্চিন্তার কারণ, ব্লাড সুগার। জানেন কি, যদি চার জন মানুষের ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে তার মধ্যে এক জনের কিডনির সমস্যাও আছে। ব্লাড সুগার আসলে কিডনির মধ্যে থাকা ব্লাড ভেসেল ক্ষতিগ্রস্থ করে। ফলে কিডনি ভালো করে কাজ করতে পারে না।
৫. জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান
একজন সুস্থ পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহের ৭০% হল জল। জল আমাদের ভালো রাখার জন্য কতটা দরকার এটা আর নতুন করে কী বলার! আর কিডনির কাজই তো হল এই জল নিয়ে। যদি আপনি পর্যাপ্ত জল না খান তাহলে আপনার কিডনি ঠিক ভাবে ইউরিন তৈরি করতে পারবে না। আর ইউরিন তৈরি না হলে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের হবে না। তাই রোজ অন্তত তিন লিটার জল খান।
৬. নুন খাওয়া কমান
পাতে এক খাবলা নুন খাওয়া অভ্যেস? এখনই এই অভ্যেস ছাড়ুন। বেশি করে নুন খেলে তা রক্তের সঙ্গে মিশে আপনার রক্তের ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়। তখন আর রক্ত ঠিক ভাবে সঞ্চালিত হয় না। কিডনিও রক্ত পায় না কাজ করার মতো। তাই নুন কম খান। খুব ভালো হয় কাঁচা নুন একেবারেই না খেলে।
৭. রোজ ব্যায়াম করুন
শুধু কিডনির জন্য কেন, আমাদের শরীর সার্বিক ভাবে সুস্থ রাখতে এই কাজটি খুবই দরকার করা। যে কোনও রকমের ব্যায়াম, তা হতে পারে জিমে গিয়ে, বা হতে পারে দৌড়, সাঁতার, আপনি শুধু আপনার শরীরকে নাড়াচাড়ার মধ্যে রাখুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে আর সেই রক্ত শরীরের প্রত্যেক অঙ্গে যাবে, কিডনিতেও। তাই যখনই সময় পাবেন ব্যায়াম করুন।
৮. ইউটিআই ট্রিটমেন্ট করুন
ইউটিআই অর্থাৎ ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন। আমাদের মূত্র তৈরি বা নির্গত হওয়ার ক্ষেত্রে যে যে অঙ্গ জড়িত এই ইনফেকশন ঠিক সেই অঙ্গে হয়। আর আমরা সবাই জানি যে কিডনি আমাদের ইউরিনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাল ইনফেকশনও হতে পারে এর থেকে। তাই এই ইনফেকশন যাতে না হয় তার জন্য শুরু থেকেই কিডনির চিকিৎসা করান।
এই কয়েকটি ছোট ছোট জিনিস মাথায় রাখলে আর মেনে চললে দেখবেন আপনি আর আপনার কিডনি কেউই কোনও সমস্যার মধ্যে পড়ছেন না। এবার আপনার কিডনিকে নিশ্চিন্তে হাসতে দিন।
শুরুতেই আপনাদের একটি তথ্য জানাই। জানেন কি, ভারতে প্রতি আট জনের মধ্যে এক জনের কিডনির সমস্যা আছে? জানতেন না তো! কিডনি আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আর আমাদের ভালো থাকা অনেকটাই নির্ভর করে এই কিডনি ভালো আছে কিনা তার উপর। কিডনির সমস্যায় অনেক দিন ধরে ভুগতে থাকলে তা কিন্তু সত্যিই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কিন্তু এইটুকু পড়েই আপাতত তেমন চিন্তায় পড়ে যাওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং কয়েকটি সহজ কাজ করুন যার দ্বারা আপনি জানতে পারবেন আপনার কিডনি ভালো আছে কি না। আর এই কয়েকটি সহজ পদ্ধতিই আপনার কিডনি ভালো রাখবে, ভালো রাখবে আপনাকেও।
১. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করুন
আজকের দিনে আমরা সকলেই নানা রকমের চিন্তা নিয়ে জেরবার। আর তার ফলে চড়চড় করে বাড়ছে আমাদের ব্লাড প্রেসার। অনিয়ন্ত্রিত ব্লাড প্রেসার কিন্তু আমাদের কিডনির এক বড় শত্রু। ব্লাড প্রেসার যদি ১৪০ এর বেশি হয় আর ৯০ এর কম হয়, তাহলে কিন্তু কিডনি ফেল করার প্রবণতা খুব বেড়ে যায়। তাই আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করা খুবই দরকার।
২. অ্যালকোহল খাওয়া বন্ধ করুন
কিডনির আরেক বড় শত্রু হল এই অ্যালকোহল। আমাদের কিডনির প্রধান কাজ হল শোধন করা। কিন্তু কিডনি যদি সেই শোধন করার ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলে! অ্যালকোহল কিডনির ক্ষেত্রে ঠিক এই কাজটাই করে। কিডনির কাজ করার ক্ষমতাও কমিয়ে আনে এই অ্যালকহল। কিডনির কোষ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। ফলে কিডনি ইউরিন শোধন করতে পারে না। তা শরীরে জমা হয়। আর শরীর তখন খারাপ তো হবেই।
৩. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করুন
আপনাকে ডাক্তার নিশ্চয়ই অনেক দিন ধরে বলে আসছে কোলেস্টেরল কম করতে। এবার কিন্তু কথাটা শুনতে হবে। কারণ এই কোলেস্টেরলের প্রভাবে কিডনি খুব ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কোলেস্টেরল থাকলে হার্টের থেকে রক্ত কিডনিতে ঠিক ভাবে আসতে পারে না। আর রক্তের জোগান কম হলে কিডনি তো কাজ করবেই না। তাই কোলেস্টেরলের দিকে নজর দিন। আর কোলেস্টেরল কম করতে নিজের ওজন কমান, স্লিম থাকুন।
৪. সুগারকে বাড়তে দেবেন না
কিডনির জন্য আরেক দুশ্চিন্তার কারণ, ব্লাড সুগার। জানেন কি, যদি চার জন মানুষের ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে তার মধ্যে এক জনের কিডনির সমস্যাও আছে। ব্লাড সুগার আসলে কিডনির মধ্যে থাকা ব্লাড ভেসেল ক্ষতিগ্রস্থ করে। ফলে কিডনি ভালো করে কাজ করতে পারে না।
৫. জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান
একজন সুস্থ পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহের ৭০% হল জল। জল আমাদের ভালো রাখার জন্য কতটা দরকার এটা আর নতুন করে কী বলার! আর কিডনির কাজই তো হল এই জল নিয়ে। যদি আপনি পর্যাপ্ত জল না খান তাহলে আপনার কিডনি ঠিক ভাবে ইউরিন তৈরি করতে পারবে না। আর ইউরিন তৈরি না হলে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের হবে না। তাই রোজ অন্তত তিন লিটার জল খান।
৬. নুন খাওয়া কমান
পাতে এক খাবলা নুন খাওয়া অভ্যেস? এখনই এই অভ্যেস ছাড়ুন। বেশি করে নুন খেলে তা রক্তের সঙ্গে মিশে আপনার রক্তের ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়। তখন আর রক্ত ঠিক ভাবে সঞ্চালিত হয় না। কিডনিও রক্ত পায় না কাজ করার মতো। তাই নুন কম খান। খুব ভালো হয় কাঁচা নুন একেবারেই না খেলে।
৭. রোজ ব্যায়াম করুন
শুধু কিডনির জন্য কেন, আমাদের শরীর সার্বিক ভাবে সুস্থ রাখতে এই কাজটি খুবই দরকার করা। যে কোনও রকমের ব্যায়াম, তা হতে পারে জিমে গিয়ে, বা হতে পারে দৌড়, সাঁতার, আপনি শুধু আপনার শরীরকে নাড়াচাড়ার মধ্যে রাখুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে আর সেই রক্ত শরীরের প্রত্যেক অঙ্গে যাবে, কিডনিতেও। তাই যখনই সময় পাবেন ব্যায়াম করুন।
৮. ইউটিআই ট্রিটমেন্ট করুন
ইউটিআই অর্থাৎ ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন। আমাদের মূত্র তৈরি বা নির্গত হওয়ার ক্ষেত্রে যে যে অঙ্গ জড়িত এই ইনফেকশন ঠিক সেই অঙ্গে হয়। আর আমরা সবাই জানি যে কিডনি আমাদের ইউরিনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাল ইনফেকশনও হতে পারে এর থেকে। তাই এই ইনফেকশন যাতে না হয় তার জন্য শুরু থেকেই কিডনির চিকিৎসা করান।
এই কয়েকটি ছোট ছোট জিনিস মাথায় রাখলে আর মেনে চললে দেখবেন আপনি আর আপনার কিডনি কেউই কোনও সমস্যার মধ্যে পড়ছেন না। এবার আপনার কিডনিকে নিশ্চিন্তে হাসতে দিন।
আপনার লেখা ৮ টি পয়েন্টই আমি নোট করে রেখেছি। আমি আশা করি সব কটা পয়েন্ট আমার অনেক উপকারে আসবে।
ReplyDeleteকিডনি রোগের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে আমার খুব ভালো করে জেনে রাখা জরুরী। এমন একটি পোস্ট যদি করেন তবে আমার জন্য অনেক উপকার হয়।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন একটি উপকারী লেখা আমাদের উপহার দেয়ার জন্য।