মনুষ্য লোহিত রক্তকণিকা
মনুষ্য লোহিত রক্তকণিকা
মনুষ্য লোহিত রক্তকণিকা ব্যাস (৬-৮ মাইক্রো-মিটার) এবং আয়তন ৮০-১০০ ফেমটো লিটার
লোহিত রক্তকণিকা রক্তের সর্বপ্রধান কোষ বা কণিকা যা মেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহের কলাগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহের প্রধান মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। ফুসফুস বা ফুলকার মধ্যের কৈশিক নালির মধ্যে সংবহণের সময় শ্বাসবায়ু থেকে লোহিত রক্তকণিকাতে অক্সিজেন সংগৃহিত হয় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড পরিত্যক্ত হয়। অন্যান্য কলায় কৈশিকনালীর মাধ্যমে রক্ত সংবাহনের সময় লোহিত রক্তকণিকা থেকে অক্সিজেন কলাকোষে স্থানান্তরিত হয় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বিপরীতে অর্থাৎ লোহিত রক্তকণিকাতে প্রবাহিত হয়।
লোহিত রক্তকণিকার সাইটোপ্লাজম হিমোগ্লোবিন নামক এক ধরনের প্রোটিন অণুতে পূর্ণ থাকে। হিমোগ্লোবিন ‘হিম’ ও ‘গ্লোবিন’ এর সমন্বয়ে গঠিত। একটি হিমোগ্লোবিন অণুর মধ্যে চারটি হিম ও চারটি গ্লোবিন নামক জৈব রঞ্জক পদার্থ থাকে । হিম যৌগের মধ্যে লোহার পরমাণু উপস্থিতির কারণে লোহিত রক্তকণিকা ও রক্তের রঙ লাল। প্রতিটি লোহিত রক্তকণিকাতে প্রায় ২৭০ মিলিয়ন হিমোগ্লোবিন অণু থাকে। সব মিলিয়ে মানবদেহের সমস্ত হিমোগ্লোবিনে অবস্হিত লোহার পরিমাণ প্রায় ২.৫ গ্রাম। এই হিমোগ্লোবিনের মাধ্যমেই দেহের ৯৮% অক্সিজেন পরিবাহিত হয়। বাকী ২% বহন করে রক্তরস। অক্সিজেন হিমোগ্লোবিনের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সি-হিমোগ্লোবিন গঠন করে।
মানবদেহে পরিণত লোহিত রক্তকণিকাগুলি স্থিতিস্থাপক দ্বি-অবতল ডিস্ক আকৃতির হয় এবং এগুলি কোন নিউক্লিয়াস ও অন্যান্য বেশিরভাগ কোষ-অঙ্গাণু অনুপস্থিত থাকে। মানবদেহে প্রতি সেকেন্ডে ২.৪ মিলিয়ন লোহিত রক্তকণিকা উৎপন্ন হয়। কণিকাগুলি অস্থিমজ্জায় উৎপত্তি লাভ করে এবং সমগ্র দেহে ১০০-১২০ দিন সংবহনের পর এগুলি পরিত্যক্ত হয়ে যায় এবং ম্যাক্রোফাজ নামের শ্বেত রক্তকণিকাগুলি এগুলিকে ক্ষুদ্রতর উপাদানে ভেঙে ফেলে ও পুনরায় সৃষ্টির জন্য প্রস্তুত করে। একটি লোহিত কণিকার সমস্ত দেহ ঘুরে আসতে প্রায় ২০ সেকেন্ড লাগে। মানবদেহের কোষসমূহের প্রায় এক-চতুর্থাংশই হল লোহিত রক্তকণিকা। একটি প্রাপ্তবয়স্ক লোকের দেহে ২০ থেকে ৩০ ট্রিলিয়ন লোহিত রক্তকণিকা থাকে।
শরীরে লোহিত কণিকা-সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের মধ্যে আছে অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা, হিমোলাইসিস বা লোহিত কণিকাসমূহের অতিরিক্ত ভাঙন, ইত্যাদি।
মনুষ্য লোহিত রক্তকণিকা ব্যাস (৬-৮ মাইক্রো-মিটার) এবং আয়তন ৮০-১০০ ফেমটো লিটার
লোহিত রক্তকণিকা রক্তের সর্বপ্রধান কোষ বা কণিকা যা মেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহের কলাগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহের প্রধান মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। ফুসফুস বা ফুলকার মধ্যের কৈশিক নালির মধ্যে সংবহণের সময় শ্বাসবায়ু থেকে লোহিত রক্তকণিকাতে অক্সিজেন সংগৃহিত হয় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড পরিত্যক্ত হয়। অন্যান্য কলায় কৈশিকনালীর মাধ্যমে রক্ত সংবাহনের সময় লোহিত রক্তকণিকা থেকে অক্সিজেন কলাকোষে স্থানান্তরিত হয় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বিপরীতে অর্থাৎ লোহিত রক্তকণিকাতে প্রবাহিত হয়।
লোহিত রক্তকণিকার সাইটোপ্লাজম হিমোগ্লোবিন নামক এক ধরনের প্রোটিন অণুতে পূর্ণ থাকে। হিমোগ্লোবিন ‘হিম’ ও ‘গ্লোবিন’ এর সমন্বয়ে গঠিত। একটি হিমোগ্লোবিন অণুর মধ্যে চারটি হিম ও চারটি গ্লোবিন নামক জৈব রঞ্জক পদার্থ থাকে । হিম যৌগের মধ্যে লোহার পরমাণু উপস্থিতির কারণে লোহিত রক্তকণিকা ও রক্তের রঙ লাল। প্রতিটি লোহিত রক্তকণিকাতে প্রায় ২৭০ মিলিয়ন হিমোগ্লোবিন অণু থাকে। সব মিলিয়ে মানবদেহের সমস্ত হিমোগ্লোবিনে অবস্হিত লোহার পরিমাণ প্রায় ২.৫ গ্রাম। এই হিমোগ্লোবিনের মাধ্যমেই দেহের ৯৮% অক্সিজেন পরিবাহিত হয়। বাকী ২% বহন করে রক্তরস। অক্সিজেন হিমোগ্লোবিনের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সি-হিমোগ্লোবিন গঠন করে।
মানবদেহে পরিণত লোহিত রক্তকণিকাগুলি স্থিতিস্থাপক দ্বি-অবতল ডিস্ক আকৃতির হয় এবং এগুলি কোন নিউক্লিয়াস ও অন্যান্য বেশিরভাগ কোষ-অঙ্গাণু অনুপস্থিত থাকে। মানবদেহে প্রতি সেকেন্ডে ২.৪ মিলিয়ন লোহিত রক্তকণিকা উৎপন্ন হয়। কণিকাগুলি অস্থিমজ্জায় উৎপত্তি লাভ করে এবং সমগ্র দেহে ১০০-১২০ দিন সংবহনের পর এগুলি পরিত্যক্ত হয়ে যায় এবং ম্যাক্রোফাজ নামের শ্বেত রক্তকণিকাগুলি এগুলিকে ক্ষুদ্রতর উপাদানে ভেঙে ফেলে ও পুনরায় সৃষ্টির জন্য প্রস্তুত করে। একটি লোহিত কণিকার সমস্ত দেহ ঘুরে আসতে প্রায় ২০ সেকেন্ড লাগে। মানবদেহের কোষসমূহের প্রায় এক-চতুর্থাংশই হল লোহিত রক্তকণিকা। একটি প্রাপ্তবয়স্ক লোকের দেহে ২০ থেকে ৩০ ট্রিলিয়ন লোহিত রক্তকণিকা থাকে।
শরীরে লোহিত কণিকা-সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের মধ্যে আছে অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা, হিমোলাইসিস বা লোহিত কণিকাসমূহের অতিরিক্ত ভাঙন, ইত্যাদি।
Comments
Post a Comment